সতীদাহ প্রথার ঐতিহ্য, সমাজিক প্রভাব এবং আধুনিক প্রতিক্রিয়া
সতীদাহ প্রথা ছিল একটি ঐতিহ্যবাহী সামাজিক প্রথা যা সমাজে গভীর প্রভাব ফেলেছিল। এটি সমাজসেবা ও সংস্কারের মাধ্যমে বদলে গেছে।
সতীদাহের ঐতিহ্য
সতীদাহ প্রথা হলো হিন্দু ধর্মাবলম্বী কোনো সদ্য বিধবা নারীকে স্বামীর চিতায় সহমরণ বা আত্মাহুতি দিতে বাধ্য করার এক অমানবিক প্রথা। এই প্রথাটি ছিল মূলত সামাজিক ও ধর্মীয় হত্যাকাণ্ড। মৃত ব্যক্তির সম্পত্তির দখল নিতে এবং পারিবারিক মানসম্মান নষ্ট হওয়ার ভয় থেকে মৃত ব্যক্তির আত্মীয়রা সদ্য বিধবা হওয়া নারীকে জোর করে স্বামীর চিতায় পুড়িয়ে মারতেন।
Expand
সমাজে প্রভাব
সতীদাহ প্রথা সমাজে গভীর প্রভাব ফেলেছিল। এটি নারীদের প্রতি সহিংসতার একটি ধারাবাহিক অংশ ছিল। এই প্রথা সমাজের মানসিকতা ও সংস্কৃতিকে প্রভাবিত করেছিল। সমাজের বিভিন্ন স্তরে এই প্রথা প্রচলিত ছিল এবং এটি নারীদের জীবনকে বিপর্যস্ত করেছিল।
Expand
সমাজসেবা ও সংস্কার
রাজা রামমোহন রায় এবং ব্রাহ্মসমাজের মত সংস্কারকরা সতীদাহ প্রথার বিরুদ্ধে সচেষ্ট ছিলেন। ১৮২৯ সালে ব্রিটিশ ভারতে সতীদাহ প্রথাকে আনুষ্ঠানিকভাবে বাতিল ঘোষণা করা হয়। এই আদেশ রাজা রামমোহন রায়ের সামাজিক আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে গৃহীত হয়। এই সংস্কারের মাধ্যমে সমাজে গভীর পরিবর্তন ঘটেছিল।
Expand
আধুনিক প্রতিক্রিয়া
আধুনিক সমাজে সতীদাহ প্রথাকে অমানবিক ও অন্যায় বলে মনে করা হয়। এটি আধুনিক মানবিক মূল্যবোধের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। সমাজের বিভিন্ন স্তরে এই প্রথা বিরোধিত হয় এবং এটি আধুনিক সমাজে প্রচলিত নয়।
Expand